প্রকাশিত: Thu, Feb 9, 2023 4:54 PM
আপডেট: Sat, Jul 5, 2025 12:02 PM

তীব্র হচ্ছে মানবিক সংকট, নেই মরদেহ বহনের বডিব্যাগও

ইমরুল শাহেদ: তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। থমকে গেছে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে চেনাজানা পথঘাট, বাড়িঘর।  ভূমিকম্পের ৮৬ ঘন্টা পরও শোনা যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া মুমূর্ষু মানুষগুলোর আর্তনাদ। 

প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে শুধু তাঁবুতে বসে সময় কাটাচ্ছে সর্বহারা মানুষ। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া সন্তানের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে অশ্রুসিক্ত পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন। তাদের চোখের সামনেই ধীরগতির উদ্ধার কাজে ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে বের হচ্ছে এক একটি বিকৃত দেহের মরদেহ। ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন-প্রতি মুহূর্তে মিলছে হাজারো মরদেহ। তছনছ হয়ে গেছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে কয়েকটি শহর। এমনকি হতাহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা-ও বলা সম্ভব হচ্ছে না।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মরদেহ বহনের বডিব্যাগ নিয়েও সংকট দেখা দিয়েছে। এমন কিছু দুর্গম অঞ্চল আছে যেখানে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংগঠনগুলো।

উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম। বিভিন্ন দেশ থেকে তুরস্কে যাওয়া উদ্ধারকারীরা দ্রুত মরদেহ বহনের ব্যাগ সরবরাহ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

তুরস্কের পাশাপাশি একই অবস্থা সিরিয়াতেও, সেখানেও উদ্ধার অভিযানে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন উদ্ধারকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করা হয়। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পাওয়া গিয়েছিল ৮৫ জন সিরিয়ানের মৃতদেহ। বুধবার এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আহমদ ইউসুফ নামে একজন বাসিন্দা জানান, তিনি ১৩ বছরের নিহত চাচাতো বোনের মরদেহ গ্রহণের জন্য তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন। মেয়েটির বাবা-মা ও ভাই ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। এটাই হলো তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলের প্রাত্যহিক চিত্র। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব