প্রকাশিত: Mon, Dec 19, 2022 4:17 PM
আপডেট: Wed, Jul 2, 2025 10:42 AM

আদিবাসী রেজিমেন্ট চান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

ইমরুল শাহেদ: স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসীদের গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে। বহু যুদ্ধে বিদেশি শক্তিকে পরাভূত করেছে তারা। আদিবাসীদের সম্মানে তাই ভারতীয় সেনায় ট্রাইবাল রেজিমেন্ট গঠন করা হোক। শনিবার নবান্নে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পর্ষদের বৈঠকে এই দাবি পেশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা পর্ষদের চেয়ারম্যান অমিত শাহের উদ্দেশ্যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় পর্ষদের তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হোক। দি ওয়াল

আগের লোকসভা নির্বাচনে ভোটের স্বার্থে ভারতীয় সেনার বীরত্বকে নিজের সাফল্য বলে চালানোর অভিযোগ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। বিরোধীরা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ জানায়। যদিও কমিশন প্রধানমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দেয়। তবে পরে জানা যায়, তিন সদস্যের কমিশনের একজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন।

লোকসভার সেই নির্বাচনে সেনা কেন্দ্রিক নানা প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গিয়েছিল অনেক দলের মুখেই। সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব নির্বাচনি ইস্তাহারে ঘোষণা করেন, তারা ক্ষমতায় এলে সেনার আহির রেজিমেন্ট গঠন করবেন। উত্তরপ্রদেশে যাদবদের বলা হয় আহির। 

ওই ভোটেই ভীম পার্টির সভাপতি চন্দ্রশেখর আজাদ চামার রেজিমেন্ট গঠনের দাবি জানান। ভারতের সেনাবাহিনীতে জাতি, সম্প্রদায় এবং অঞ্চলের নামে বেশ কয়েকটি রেজিমেন্ট এবং ইউনিট রয়েছে - যেমন জাট, শিখ, রাজপুত, ডোগরা, মহার, জেএকে রাইফেলস, গোর্খা, শিখ ইনফ্যান্ট্রি ইত্যাদি। তবে বর্ণ বা অঞ্চল-ভিত্তিক রেজিমেন্টগুলি সমগ্র সেনাবাহিনীর জন্য নয় বরং কিছু বিশেষ ইউনিটের অংশ। জাতি ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে আহির ও চামারের মতো রেজিমেন্ট বা এমন আরও অনেক ইউনিট তাই কেন হবে না, এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এই প্রশ্নকেই আরও জোরালো করল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানের বিজেপির পার্লামেন্ট সদস্য ক্ষিরোদীলাল মিনা ২০১৯-এ রাজ্যসভায় দ্য ট্রাইবাল (আদিবাসী) রেজিমেন্ট বিল শীর্ষক প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করেন। সেই বিলে তিনি বলেন, স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর নামে রেজিমেন্ট গঠন করা হয়েছিল ঐতিহাসিক এবং প্রতীকী কারণের ভিত্তি। এই ধরনের রেজিমেন্ট বা ইউনিট শুধু নিরাপত্তা জোরদার করবে না, সেনা বাহিনীতে উপজাতী জনগোষ্ঠীর মহান ঐতিহ্য, মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ