প্রকাশিত: Fri, Jun 7, 2024 12:20 PM
আপডেট: Fri, Jul 11, 2025 3:03 AM

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬-দফার গুরত্ব অসীম

অধ্যাপক যতীন সরকার

ষাটের দশকের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬-দফার গুরুত্ব অসীম। কারণ ৬ দফার ঘোষণার পর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ মনে করলো, এই ছয় দফা আসলে কিছু নয়, এটা আসলে একদফা। বাস্তবেও তাই হলো। ৬-দফাকে দমনের জন্য পাকিস্তানি প্রশাসন অনেককিছু করেছিলো। কিন্তু ৬ দফা তো দমাতে পারলো না। ৬ দফা আমাদের স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। আমরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনে ঢুকে গেলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের অস্ত্র হাতে নিতে হয়েছিলো। 

বঙ্গবন্ধু যেভাবে অগ্রসর হচ্ছিলেন, তাতে ক্রমেই পরিষ্কার হচ্ছিলো যে তিনি স্বাধীনতার দিকেই অগ্রসর হচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের দিকেই অগ্রসর হচ্ছেন। অগ্রসর হয়ে শেষ পর্যন্ত তার নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটলো। তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়তো সফল হয়েছে, কিন্তু মুক্তির সংগ্রাম এখনো সফল হয়নি। নানা ভাবে দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। 

স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পরে যারা ক্ষমতায় এলো, তারা আসলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভূত নামিয়ে এনেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলো যারা, বাস্তবে পাকিস্তানের নাম না থাকলেও, পাকিস্তানি ভূত নিয়ে এলো। এভাবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের তাৎপর্যকে নষ্ট করে দিলো। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি ক্ষমতায় থাকার পরেও এখনো পর্যন্ত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রয়ে গেছে। 

আবার বলা হচ্ছে, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাÑচার মূলনীতি আমাদের আছে। এটা একটা গোজামিল। এই গোজামিলের অবসান ঘটাতে হবে। এজন্য বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব অনেক। বুদ্ধিজীবীরা যদি বেরিয়ে আসেন গোজামিল দূর করার জন্য, আন্দোলন সৃষ্টি করেন, তাহলে এটাই আমাদের স্বাধীনতাকে প্রকৃত প্রস্তাবে সার্থক করে তুলবে। পরিচিতি : শিক্ষাবিদ