
প্রকাশিত: Fri, Dec 9, 2022 10:17 PM আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 9:58 PM
অশনি সংকেত : মিডিয়ার দুর্বলতা
মুজতবা হামিক প্লেটো: কেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে তা স্পষ্ট করতে ব্যর্থ মিডিয়া। যে কারণে সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক শক্তিগুলোর উদ্দেশ্য বুঝতেও পারছে না। গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূল কথাগুলোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আর প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে নতুন রাজনৈতিক লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার উপর মার্কিন স্যাংশন জারির পর সরকারের মিলমিশের চেষ্টা থেকে অবস্থান বদলালো বাংলাদেশ।
বিএনপি আগে থেকেই ১০ ডিসেম্বরের হুঙ্কার দিচ্ছিল তার একটা ব্যাখ্যা যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৫টি পশ্চিমা দেশের বিবৃতির মধ্য দিয়ে মিলেছে। বাংলাদেশের ‘মানবতা’ ও ‘গণতন্ত্র’ নিয়ে জোটবদ্ধভাবে মার্কিন অ্যালির বিবৃতি রাজনৈতিকভাবে এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। স্থানীয় কোনো ঘটনাই তার সমতুল্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সেটাকে ঘিরেই। বিএনপি সেখানে সামান্য ব্যাপার অথবা ফুট সোলজার মাত্র।
কয়েকদিন আগেই চীন ইউরোপের অর্থনৈতিক খারাপ পরিস্থিতির কথা পেড়ে সতর্ক করে বলে, ‘এটা দলাদলির সময় নয়।’ মানে চীন এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সাংঘর্ষিক পরিবেশ চাচ্ছে না। তাহলে চাচ্ছেটা কে? গত ১৪ বছরে ভারত বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উচ্চকণ্ঠ থাকলেও এই প্রথম আওয়াজ নাই। বরং চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সামনে চলে আসলো। বাংলাদেশ ঘিরে মার্কিন, চৈনিক এবং ভারতীয় কী কী এজেন্ডা রয়েছে তা আমাদের মিডিয়ায় খুব একটা আলোচনা হয় না। বরাবরই কতকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরেই যত খবরের আয়োজন। ফলে জনগণ আদতে জানেই না খেলাটা কী। বরং শেখ হাসিনা মার্কিনপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ওরা (বিএনপি) এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সেই এজেন্ডাটা কী?
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারেক রহমানকে দেশে এনে জেল খাটানোর কথাটাও মূলত সেই সব দেশকে এক্সপোজ করার জন্যই। তাকে সাজা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে অনেক আগেই তোড়জোর করতেন। বরং তিনি দেখাতে চান সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সে সব দেশ লালন-পালন করে। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে ‘মানবতা ও গণতন্ত্র প্রশ্নে’ লড়াইয়ের কৌশলটা স্পষ্ট হয়েছে।
সচেতন মহল এটা অন্তত বোঝেন, কোনো দেশই অন্য দেশের জনগণ নিয়ে অত ভাবিত নয়। সব দেশই তাদের স্বার্থ উদ্ধারে যখন যেখানে যেমন দরকার তেমন আচরণ করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের মিডিয়ায় কখনোই সামরিক ও রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তেমন কোনো লেখা প্রকাশ হয় না। সাংবাদিকদের অজ্ঞতার চাইতে বড় বাধা সরকারি আইন। ফলে সামান্য সুযোগ থাকলেও তা আর চর্চিত হয় না। এদেশে সামরিক-রাজনৈতিক বিশিষ্ট কোনো সাংবাদিককেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবটাই তিনি বললেন উনি বললেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের মতামত গঠনে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন, চীন অথবা ভারতের চাওয়াটা কি তা প্রকাশ হওয়া জরুরি। এজন্য সরকারি আইনের কোনো বাধা থাকলে তা শিথিল করা দরকার। কোন দল দেশ শাসন করবে তার চাইতে বড় কথা বাংলাদেশ কোনো অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা তা জনগণের আগেভাগেই বোঝা দরকার। কারণ বাংলাদেশের চলতি রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক স্ট্র্যাটেজিতে চীন, মার্কিন, ভারত বা মধ্যপ্রাচ্য কাউকেই অবহেলার সুযোগ নাই। সামান্য কাটছাট করতে গেলেই বিশাল অদল-বদলের প্রয়োজন হবে। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
