প্রকাশিত: Fri, Jan 6, 2023 4:40 PM
আপডেট: Thu, Jul 3, 2025 3:34 PM

খেলার মাঠে ধর্ম ব্যবহার করে ‘শো অফ’ করা

রাতিন রহমান

সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে কখনো তাদের ধর্মপালনের ছুতো দিয়ে লঙ্কান লোগোতে থাকা সোনালী সিংহের উপর টেপ মেরে বা ঢেকে শো অফ করেন নাই। কোনো ইংলিশ-অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বা ভারতীয়-ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারকেও আপনি এই কাজটা করতে দেখবেন না। মইন আলী-হাশিম আমলা বা উসমান খাজাকে কখনো ইংলিশ-সাউথ আফ্রিকান বা অস্ট্রেলিয়ান লোগো মুছে বা ঢেকে ক্যামেরার সামনে আসতে দেখবেন না। অথচ তিনজনই ধর্মপ্রাণ মুসলমান। এমনকি খুব সম্প্রতি ক্রিকেটে দুর্দান্ত সম্ভবনা জাগিয়ে তোলা আফগানিস্তান কিংবা ভিনদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ে ভরা ওমান, আরব আমিরাতের খেলোয়াড়দেরও আপনি খেলার মাঠে বা জার্সিতে ধর্ম টানতে দেখবেন না। জাতীয় দলকে রিপ্রেজেন্ট করা লোগোর উপর ধর্মপালনের ছুতোয় কালো টেপ মেরে বিকৃত করে সেটার শো অফ করা তো বহু দূরে থাক।

তার মানে কি এই সবগুলো দেশের ক্রিকেটারেরা ধর্মহীন? না, অবশ্যই তারা ধর্মপালন করেন, নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর তারা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সেটা একান্তই ব্যক্তিগত বাউন্ডারিতে, খেলার মাঠে সেটা শো অফ করার মতো বিদঘুটে সংকীর্ণতা আপনি কখনো শচীন-জয়াবর্ধনে-আতাপাত্তু-গিলক্রিস্ট-নাসের হুসেন-ক্যালিস-ফ্লেমিং-চন্দরপল-ফ্লাওয়ার প্রমুখ গ্রেইট প্লেয়ারদের কাছ থেকে, ইভেন এই সেদিনকার রশিদ-মুজিবদের কাছ থেকে কল্পনাও করতে পারেন না। খেলার মধ্যে ধর্ম না মেশানোর মতো বেসিক প্রফেশনালিজম খুব স্বাভাবিক প্রত্যাশা একজন স্পোর্টস পার্সনের কাছ থেকে, একজন এথলেটের কাছ থেকে। 

খেলার মাঠে ধর্ম ব্যবহার করে শো অফ করা একটা রাষ্ট্রের ক্রিকেটারদের চিনি আমরা। খেলার মাঠে নামাজ পড়া বা যেকোনো আলাপে যত্রতত্র নিজের ধর্মের নাম, স্রষ্টার নাম ব্যবহার করা বড়াই করা, অন্য ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটারদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলা পাকিস্তান নামের সেই দেশটার যতজন ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত ম্যাচ ফিক্সিং আর জঘন্য দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে, বাকি দেশগুলোর ক্রিকেটারদের সেই রেকর্ড ছুঁতে কষ্ট হয়ে যাবে। জেনেটিক্যালি জেনোসাইডারের নোংরা রক্তের উত্তরসূরী পাকিস্তান রাষ্ট্রটা বিংশ শতাব্দীর কল্পনাতীত ভয়ংকর এবং পৈশাচিক জেনোসাইডটা চালিয়েছিল বাংলাদেশ নামে একটা দেশের নিরীহ নিরপরাধ লাখো জনগণের উপর। ধর্মরক্ষার অজুহাতে ধর্মের নামে সৃষ্টিকর্তার নামে তার চরমতম অবমাননা ঘটিয়ে নির্বিচারে হত্যা করেছিল ৩০ লাখেরও বেশি রক্ত-মাংসের জীবন্ত মানুষ...। ফেসবুক থেকে