
প্রকাশিত: Sat, Apr 8, 2023 2:57 PM আপডেট: Fri, May 9, 2025 10:14 PM
আজিজুল হাকিম ও জিনাত হাকিমের ভালোবেসে পাশে থাকার রাতদিন
[২] খসরুল আলম: আজিজুল হাকিমÑ অভিনেতা : আমাদের দু’জনের মাঝেই ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ সবসময় কাজ করে থাকে। জিনাত সবসময় চায়, আমি যেন আমি অভিনয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারি, এর জন্য সেই পরিবেশ আমার স্ত্রী তৈরি করে দিয়ে থাকে। আবার সে যখন নাটক লিখতে বসে, আমি চেষ্টা করিÑ তাকে সকল ধরনের সাহায্য করার জন্য। নিরবচ্ছিন্নভাবে গল্পটাকে লেখার পরিবেশ তাকে করে দেওয়ার জন্য আমি করনীয় কাজগুলো করে থাকি। জিনাতের সবগুলো পরিচয়ের মধ্যে প্রথম পরিচয় সে একজন মা। এর বাইরে প্রতিটি সেক্টরে সে আলাদা আলাদাভাবে পূর্ণ মনোযোগী হয়ে কাজ করে থাকে।
[৩] যখন সে আমার দায়িত্ব পালন করে, তখন সবটা দিয়ে আমার দেখাশোনা করে। আবার যখন সে তার অফিসের কাজ করে, তখন সততার সঙ্গে সেই কাজ করে। [৪] আমি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রমাণ পেয়েছি, আমার কোনও শত্রু নেই- সকলে আমাকে ভালোবেসে তখন দোয়া করেছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাকে তখন ৫৬ ঘণ্টা লাইফ সাপর্টে রাখা হয়েছিলো, সেই সময়ে সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আমার জন্য দোয়া করেছে।
[৫] আমি যে চলচ্চিত্রগুলোতে কাজ করেছি, সে গল্পগুলো ভালো লেগেছে বা চরিত্র আমাকে টেনেছে বলেই আমি কাজ করেছি। [৬] আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একবার ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিলাম এবং তখন অনেকগুলো টাকা নষ্ট হয়েছিলো। কারণ আমরা কয়েকজনে শেয়ারে বিজনেসটি শুরু করেছিলাম, কিন্তু আমাদের টিমের ভেতর দু’জন অসৎ থাকার কারণে এমনটি হয়েছিলো। এই ঘটনা জানার পর থেকে আমার স্ত্রী সবসময় আমার সকল কাজে নজর রাখে।
[৭] আমরা বর্তমানে কর্মজীবনেও একই অফিসে কাজ করছি, এটি খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। একই অফিসের পাশাপাশি দু’টি রুমে বসে আমরা কাজ করি, এটি বেশ আনন্দের। [৮] আমি যে কখনও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাইনি, এটির জন্য কোনও রকম আক্ষেপ আমার নেই। তবে এর বাইরে অনেক পুরস্কারই আমি পেয়েছি। সব থেকে দামি জিনিস মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, এটাই আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। [৯] আমি খুবই পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির একজন মানুষ, আমি মনে করি মানুষ যে পদক্ষেপগুলো জীবনে নিয়ে সেগুলো দরকারি, তাই নিয়ে থাকে। সুতরাং ভুল পদক্ষেপ বলে কিছু নেই। এ কারণ আমি আমার অতীতের কোনও কাজ নিয়ে আফসোস করি না।
[১০] জিনাত হাকিমÑ নাট্যকার : আমার সকল কাজেই হাকিম আমাকে সাহায্য করে থাকে। আমি যখন স্ক্রিপ্ট হাতে লিখি, তখন প্রায় সময়ই হাকিম আমার লেখা টাইপিংয়ের কাজটা করে দিয়ে থাকে। [১১] অনেকে প্রশ্ন তুলে থাকেন, হাকিম এতো ভালো অভিনয় করার পর জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পায়নি? তাদের আমি বলবো, আমার বাড়িতে এতো এতো পরিমাণ হাকিমের পুরস্কার আছে, যা রাখার স্পেস নেই। এছাড়া হাকিম ৯ বার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারের জন্য নমিনেশন পেয়েছে। [১২] আমি মনে করি আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া হলো, হাকিমের মতো ভালো মনের মানুষকে জীবনসঙ্গী পাওয়া। [১৩] আমাদের দুজনেরই শেষ চাওয়া, বাকি জীবন এভাবেই ভালোবেসে একে অপরের পাশে থাকা। সূত্র : চ্যানেল আই-এর ‘শাহরিয়ার নাজিমের তেরোটি প্রশ্ন’ অনুষ্ঠান থেকে অনুলিখন করা হয়েছে।
আরও সংবাদ
রিয়াজ একজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার অভিনেতা
ওমর : পারফেক্ট এন্টারটেইনিং সিনেমা
পাকিস্তান থেকে আব্দুল আলীমের গান দেশে নিয়ে আসছেন তাঁর মেয়ে নূরজাহান
[১]স্ত্রীকে চমক ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে ১২ লাখ সূর্যমুখী ফুল দিয়ে
[১]মাসা আমিনিকে সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত করল ইইউ
[১]মাথা ফাটল রাজের, হাসপাতালে ভর্তি পরীমণি

রিয়াজ একজন পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার অভিনেতা

ওমর : পারফেক্ট এন্টারটেইনিং সিনেমা

পাকিস্তান থেকে আব্দুল আলীমের গান দেশে নিয়ে আসছেন তাঁর মেয়ে নূরজাহান

[১]স্ত্রীকে চমক ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে ১২ লাখ সূর্যমুখী ফুল দিয়ে

[১]মাসা আমিনিকে সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত করল ইইউ
