জইনাব বাঙ্গুরা নামে ওই কর্মকর্তা সিরিয়া, ইরাকের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডে দখল করা আইএস সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার একাধিক মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই এলাকায় যৌন হিংসা নিয়ে কাজ করার বিশেষ দায়িত্ব নিয়েই এসেছেন জইনাব। তিনি যে ভয়াবহ তথ্যটি দিয়েছেন, তা হল, ওই যৌন ক্রীতদাসীকে ২০ জন আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করতে হয়েছে। আর প্রতিবার তাকে কুমারীত্ব ফিরে পেতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে! অর্থাত বারবার একেবারে নতুন হয়ে প্রতি সন্ত্রাসবাদী-স্বামীকে যৌন তৃপ্তি দিতে বাধ্য হয়েছে সে।
‘দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে যৌন নির্যাতনকে বলতে গেলে একেবারে ব্যাপক মাত্রায় শিল্পের স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জইনাব।তিনি বলেছেন, এটা একটা কৌশল আইএস-এর। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি যৌন নির্যাতন ও মেয়েদের ওপর নারকীয় অত্যাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলেছে।তাদের আদর্শ, কার্যকলাপের কেন্দ্রেই রয়েছে নারীদের ভোগের সামগ্রী হিসাবে দেখে তাদের সঙ্গে যথেচ্ছাচার করার কৌশলটি।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় আইএসের হয়ে লড়া সন্ত্রাসবাদীরা যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চিকিত্সা করাচ্ছে।নিজেদের স্ত্রীদেরও ‘নৃশংস, অস্বাভাবিক’ যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করছে।
আইএসের সন্ত্রাসের হাত থেকে বেঁচে ফেরা অনেকে জানিয়েছেন, ৫ বছরের ছোট মেয়েদেরও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে, বিকৃত যৌন আচরণ করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে।এভাবে বেশ কয়েকটি বাচ্চা গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসার পর মেয়েটি ও তার পরিবার সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না।
এই অবস্থায় আইএসের হাতে ধর্ষিতদের দীর্ঘকালীন মানসিক চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে কুর্দ ও ইরাকি কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।