আক্তারুজ্জামান : শান্তির দেশ হিসেবে তকমা লাগানো নিউজিল্যান্ডেই গতকাল ঘটে গেলো ভয়ঙ্কর ঘটনা। ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে মুসলিমদের ওপর হামলায় হতাহত মানুষের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে এ হামলার নিন্দা করে সন্ত্রাসী হামলা বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। জুমার নামাজ আদায় করতে তামিম-মুশফিকরা যে মসজিদে যাচ্ছিলেন, হামলার শিকার হওয়া মসজিদগুলোর একটি সেটি। তারা পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসী হামলা হয়ে যাওয়ায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ দল।
এরপরই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। সে তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান অনেক ক্রিকেটার। বিরাট কোহলিও এ হামলার নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বার্তা দিয়েছেন কোহলি, ‘হতবাক করে দেওয়ার মতো শোকাবহ ঘটনা। ক্রাইস্টচার্চে এমন কাপুরুষোচিত হামলায় হতাহত লোকজনের জন্য আমার অনেক ভালোবাসা। বাংলাদেশ দলের জন্য আমার শুভকামনা, নিরাপদে থাকুন।’
কোহলির পাশাপাশি ভারতীয় ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না বলেন ‘নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ভয়ংকর গুলিবর্ষণের ঘটনায় খুবই চিন্তায় আছি। হতাহতদের পরিবারের জন্য আমার শুভকামনা ও প্রার্থনা।’
কলকাতা নাইট রাইডার্স এ নিয়ে আইসিসির টুইটটি নিজেদের পেজে রিটুইট করেছে। সঙ্গে লিখেছে, ‘আশা করি বাংলাদেশ দল নিরাপদে আছে।’ সাবেক ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণও হতভম্ব হয়ে গেছেন, ‘ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে আছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ঈশ্বর শোক সহ্য করার ক্ষমতা দিন।’