এল আর বাদল : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গতকাল স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সময় রাত চারটায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে মাঠে নামার কথা তামিমদের। তার আগে স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ২টায় ক্রাইস্টচার্চের নূর মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে রওনা হন তামিম-রিয়াদরা। মসজিদের কাছাকাছি যাওয়া মাত্র সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। এ অবস্থায় কিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গতকাল গুলশানের নিজ বাসভবনে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ক্রিকেটাররা ক্রাইস্টচার্চে নিরাপদেই আছেন। মিনিট দশেক আগে তারা মসজিদে রওনা হলে বিপদ ঘটতে পারতো। তিনি বলেন, যে দেশ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে পারবে না সেখানে বাংলাদেশ সফর করবে না। এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী।
ক্রাইস্টচার্চে শনিবার (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৪টায়) তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার সকালে অনুশীলন করতে হ্যাগলি ওভাল মাঠে ব্যাগ রেখে স্টেডিয়ামের অদূরে নূর মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে রওনা হন তামিম-মুশফিকরা। মসজিদের খুব কাছে গিয়ে ক্রিকেটাররা গুলির আওয়াজ শুনতে পেয়ে পার্কের ভেতর দিয়ে দৌড়ে স্টেডিয়ামে ফিরে আসেন। ড্রেসিংরুমে কিছ ুসময় উদ্বিগ্নে কাটানোর পর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ক্রিকেটাররা টিম হোটেলে ফিরে যান। এরপরই দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড মিলে তৃতীয় টেস্টটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বোর্ড সভাপতি নিরাপত্তার ব্যাপারে বিসিবির অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, আমাদের দেশে যখন বিভিন্ন দেশ খেলতে আসে, তারা প্রথমেই নিরাপত্তার ধরণ নিয়ে কথাবার্তা বলে। আমরাও ভালো নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। এখন পর্যন্ত আমরা তেমনটা কোথাও গিয়ে পাইনি। সত্যি কথা বলতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে খেলতে গিয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে কখনও জোরাজুরি করিনি। অন্যান্য দেশও ওসব দেশে খেলতে গেলে করে না। জঙ্গী হামলা হতে পারে এ ধারণাই নিউজিল্যান্ড সরকারের নেই। এমন ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করতে হবে সে ব্যাপারেও তাদের ধারনা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে যতটা সময় লেগেছে, এটা তো অস্বাভাবিক। আমাদের দেশে এমন কিছু হলে পুলিশ পৌঁছাতে সময় লাগে না। আমি মনে করি মসজিদে জঙ্গী হামলায় নিউজিল্যান্ড সরকার প্রস্তুত। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব