আব্দুর রাজ্জাক : চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে নজরদারি ক্যামেরা ও তল্লাশি চেকপোস্ট বসিয়ে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর এই নগরীকে পুলিশি রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ সংখ্যালঘু মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটক করা হয়েছে। খবর মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এর।
মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ (এইচআরডব্লিউ) এর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উইঘুর মুসলিমদের ওপর নজরদারি করতে চীন সরকার একটি অ্যাপ ব্যবহার করছে। যেখানে প্রত্যেককে বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতিতে করা আইডিকার্ডের মাধ্যমে নিবন্ধিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত নজরদারির জন্য প্রত্যেকের মোবাইলে একটি করে বিশেষ চিপও বসিয়ে দেয়া হয়েছে। মুখাবয়ব দেখে পরিচয় শনাক্তকারী ক্যামেরাসহ নজরদারি ক্যামেরা ও পুলিশে ভরে গেছে জিনজিয়াংয়ের শহরগুলো। সেখানে প্রতি ১৫০ ফুট পর পর একটি করে ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং প্রায় প্রতিটি রাস্তার মোড়ে ও পাশে প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো প্রতিনিয়ত ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের সেন্ট্রাল কমান্ডে পাঠায় এবং এ থেকে প্রত্যেক উইঘুর মুসলিমকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।
একটি বন্দিশিবির পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় কয়েজন উইঘুর মুসলিমকে তাদের পরিবারের জন্য খাবার আনতে দেখা যায় যাদের প্রায় ২০ জন পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সেখানে থাকা একজন নারী জানান তারা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এবং অন্য একজন জানান আইডি কার্ড সক্রান্ত সমস্যার জন্য তার ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আরো একটি ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে সেখানে বিদেশিদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ বলে পুলিশ জানায়। কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় বিধির প্রতি সম্মান দেখানোর অজুহাত পেশ করা হয়।
তবে বন্দিশিবিরগুলোকে প্রশিক্ষণশালা অভিহিত করে সেখানে থাকা মুসলিমদের কোনোরকম নির্যাতন ও রাজনৈতি মতাদর্শ পরিবর্তনের চেষ্টা করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ