সৌরভ নূর : ২০১৮ সালে নেপালে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই যেন বিমান দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। একটির রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এছাড়া সারাবিশে^ই বেড়ে চলেছে বিমান দুর্ঘটনা। কেন বাড়ছে জানতে চাইলে সাবেক এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগে এতো বিমান ছিলো না। এছাড়া এখন মিডিয়ার প্রভাবে বিশে^র যেখানেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটুক না কেন আমারা খবর পেয়ে যাচ্ছি, তাই দুর্ঘটনার সংখ্যাটি আমাদের কাছে বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দক্ষতার অভাব কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে তা এককভাবে বলা যাবে না। অধিকাংশ দুর্ঘটনাই ঘটছে বৈরী আবহাওয়া ও ল্যান্ডিং বিড়ম্বনার কারণে। অনেক সময় ল্যান্ডিংয়ের সময় হঠাৎ করে দমকা বাতাস আসে সেই তাল সামলানো পাইলটের জন্য খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে পাইলটের উচিত হবে সময় নিয়ে অপেক্ষা করে বাতাসের গতিবেগ কমে গেলে অথবা অন্য কোনো নিকটস্থ এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করা। যেমন মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বৈরী আবহাওয়ার জন্যই ঘটেছে। যদিও নেপালের দুর্ঘটনাটি ছিলো পাইলটের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে। বিমান যতো উড়বে দুর্ঘটনার সংখ্যা ততো বাড়বে এটাই স্বাভাবিক, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিক সচেতন হতে হবে। পাইলটের দক্ষতা বাড়াতে হবে, বিমান ফ্লাই করার আগে বিমানের সব যন্ত্রাংশ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করে নিতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈরী আবহাওয়াকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে।