আসিফুজ্জামান পৃথিল : আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ ফেরত মার্কিন সেনারা মানসিক অবসাদসহ নানাবিধ মানষিক সমস্যা ও রোগে ভুগছেন। তাদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও অনেক বেশি। সেই তুলনায় সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কাউন্সিলিং এর ভয়াবহ অভাব রয়েছে। সেনারা সঠিক দিকনির্দেশনা না পেয়ে আরো মুষড়ে পড়ছেন। সিএনএন,পিএমসি। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক দেশ, যাদের সামরিক বাহিনী বিশে^র নানান স্থানে নিয়মিত যুদ্ধরত থাকে। ন্যাটোর সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিকট মিত্র হিসেবে যুক্তরাজ্যও প্রায়শই তাদের সঙ্গী হয়। কিন্তু এই দেশগুলো সে হিসেবে নিজেদের সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেয় না। ক্ষেত্রবিশেষে সাধারণ মানুষের চেয়েও কম সেবা পান সেনারা। এতে তারা মুষড়ে পড়ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগানিস্থান ফেরত এক রেঞ্জার্স সদস্য সিএনএনকে বলেন, ‘আমি যখন যুদ্ধ থেকে ফিরলাম, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমার পেছন ছাড়েনি। ঘুমের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখতাম, রক্ত দেখতাম, আহত সৈনিকদের চিৎকার শনতাম, আরপিজির পেছনে থাকা আগুনের লেজ দেখতে পেতাম। আমি একসময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। সেসময় আমার যে মানষিক সহায়তার প্রয়োজন ছিলো তার নূন্যতম আমাকে কেউ দেয়নি। আমি নিজের মধ্যে গুমরে মরেছি। আমার ভেতরের কান্না কেউ শুনেনি। ইশ^রকে ধন্যবাদ, আমি আত্মহত্যা করিনি। কিন্তু অনেকেরই সেই সৌভাগ্য হয় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সূত্রই জানাচ্ছে ২০১৭ সালের তুলনায়, ২০১৮ সালে স্পেশাল অপারেশন এর সদস্যদের আত্মহত্যার পরিমাণ ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মন্তব্য করেছে খোদ পেন্টাগন। একজন সামরিক বাহিনীর সদস্যকে অভিযান চলাকালে সর্বদাই মৃত্যুর শঙ্কায়থাকতে হয়। এমনকি অনেকে হত্যাজনিত বিষাদে ভোগেন। এই মানুষগুলোর কাউন্সিলিং অতি জরুরী হওয়া সত্ত্বেও তারা এই সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগই নিচ্ছে না। সম্পাদনা : ইকবাল খান