মনোয়ার হোসাইন : বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম-পিপিএম বলেছেন কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর অঅক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণ করে হত্যাকারীরা এবং সহযোগিদের কেউ ছাড় পাবেনা। তবে এ ঘটনায় নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হবে না।
গতকাল রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের আয়োজনে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামি বাস চালক নূরুজ্জামান নূরু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আল মামুনের আদালতে । ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলে গতকাল ছিল রিমান্ডের ৪র্থ দিন।
তিনি আরও জানান, বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু ও হেলপার লালন মিয়া রিমান্ডে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনার সময়ে বাসটিতে বাসচালক নূরু ও হেলপার লালন মিয়া ছাড়াও আরেকজন ছিল। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অচিরেই এ মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত ৬ মে বিকালে নিজ বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহণের একটি বাস যোগে রওয়ানা হন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌছার সময় বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যান্যরা ধর্ষণ করে বলে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঐ এলাকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে তানিয়াকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সম্পাদনা : ওমর ফারুক