মাকসুদা লিপি : ১৯৭৭-এ ভারতে জনতা পার্টির ঐতিহাসিক জয়ের পরে কংগ্রেস পার্টি যখন বিরোধীদের আসনে বসল, তখন নতুন সরকার লালবাহাদুরের মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করলেন। অধ্যক্ষ হলেন সেই রাজনারায়ণ। কমিটি কিছু লোককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, কমিটির তলবে সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন ডা: চুঘ। কিন্তু পথেই একটি ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হলেন তিনি। তার স্ত্রী ও এক পুত্রও মারা গেল, কিশোরী কন্যাটি প্রাণে বাঁচলেও মারাত্মক জখম হয়। সাংসদ জ্যোতির্ময় বসু বলেছিলেন, ট্রাক প্রথমে গাড়ির পিছনে আঘাত করে, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাপ করতে চালকের আসন থেকে নেমে আসেন চুঘ, তখন ট্রাকটি ঘুরে এসে তাকে মারে। অর্থাৎ তার বাঁচার কোনও উপায় ছিল না। এবেলা
সেদিন মাঝরাতে ভারতে আছড়ে পড়েছিল দুঃসংবাদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুরহস্য আজও মেটেনি। ওই দিনই কমিটির ডাক পেয়েছিলেন বৃদ্ধ রামনাথও। কমিটির কাছে যাওয়ার আগে তিনি বরাবরের অভ্যাস মতো ১ নম্বর মোতিলাল নেহর মার্গে ললিতা শাস্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন আম্মা অনেকদিন ধরে বুকের মধ্যে বোঝা নিয়ে ঘুরছি, আজ সব বলে দিয়ে হালকা হব। কিন্তু তাকে হালকা হতে দেয়া হয়নি। মোতিলাল নেহরু মার্গ থেকে সংসদ ভবন হাঁটা পথ। পথেই একটি বাস তার উপর দিয়ে চলে যায়। শক্ত প্রাণ রামনাথের। তিনি বেঁচে রইলেন, কিন্তু তার দু’টি পা কেটে ফেলতে হলো। কিন্তু শকে বৃদ্ধের স্মৃতিভ্রংশ হয়ে গেল রামনাথ আর কোনও দিন তাসখন্দের গল্প বলতে পারলেন না।
উল্লেখ্য, পাক-ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একসঙ্গে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করতে। রাশিয়ায় তার অকাল মৃত্যু হয়। সম্পাদনা : ওমর ফারুক