আব্দুর রাজ্জাক : পর পর দুই দফায় ৭৩৭ ম্যাক্স বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জন নিহতের ঘটনায় বোয়িংয়ের এই মডেলটি বিশ্বব্যাপী নামিয়ে রাখা হয়েছে। বিমানটিকে আরো নিরাপদ করতে একটি সফ্টওয়ার সংযোজনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি আর উড়ানো সম্ভব না। কিন্তু ইতোমধ্যেই এই মডেলটির জন্য বোয়িংয়ের ব্যয় ১শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সিএনএন
বোয়িং আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সফটওয়ারটি আপডেট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা যে বিমান নিয়ন্ত্রণ কোম্পানিগুলো অনুমোদন দেবে এর কোনো লক্ষণ এখনো দেখছে না কোম্পানিটি। তবে এর প্রভাব পড়ছে পুরো কোম্পানির ওপর।
৭৩৭ ম্যাক্স আবারো নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, দেখার বিষয় হলো মার্কিন এভিয়েশন সংস্থা এফএএ কিভাবে বোয়িংয়ের আপডেট সফ্টওয়ারটির অনুমোদন দেয়। কেননা, এফএএ কেনো বোয়িংয়ের এই মডেলটিকে আবারো ফ্লাইট পরিচালনা করার অনুমতি দেবে তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
ইতোমধ্যেই ৭৩৭ ম্যাক্স এফএএ এর আস্থা হারিয়েছে। যখন এই সংস্থাটি বোয়িংয়ের এই মডেলটি নামিয়ে রাখার নির্দেশ দেয় তখনই তাদের আস্থার সংকট প্রমাণিত হয়। মার্কিন এই বিমান সংস্থাকে অনুসরণ করে অন্যান্য সংস্থাও ৭৩৭ ম্যাক্স নামিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়।
তবে এফএএ আবারো ৭৩৭ ম্যাক্সকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিলে হয়তো বিশ্বের অন্যান্য সংস্থাও তা অনুসরণ করবে। যেমনটি হয়েছিলো ২০১৩ সালে বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনার ৭৮৭ এর ক্ষেত্রে। যখন এটি ব্যাটারি সমস্যার কারণে নামিয়ে রাখা হয়েছিলো।