বিশ্বজিৎ দত্ত : আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার। এবার এরসঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দলে নতুন যোগদানকারী নেতা ও সদস্যদের যাচাই। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের দল থেকে ছাঁটাই করা হবে। গত শনিবার থেকে দেশজুড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর শুরু হয়েছে। তাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে দলে অনুপ্রবেশকারীর বিষয়টি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতসহ অন্য কোনও দলের বিতর্কিত নেতারা কোথায় কোথায় অনুপ্রবেশ করেছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে এদের দল থেকে ছেঁটে ফেলা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম গত মাসে একাধিক সমাবেশে দেয়া তার ভাষণে বলেছেন, এখন সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে। এদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের আর এসব লোকের প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত হত্যার ঘটনায় জড়িত সাবেক জামায়াত নেতাকে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থন দেয়ার বিষয়টি সামনে আসায় হাইব্রিড ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে নেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান