সুস্মিতা সিকদার : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। সম্প্রতি বিদ্যাসগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে ক্ষোভ ও মূর্তি গড়ার রাজনীতির পাশাপাশি মোদী এবং মমতার মাঝে চলছে বাক্যযুদ্ধ। এই ঘটনার রেশ ধরে মোদী ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের মতো জায়গার পঞ্চায়েতে শান্তি বিরাজ করছে কিন্ত তৃণমূলের গুন্ডাদের তা-বে বাংলায় কোন শান্তি নেই। তারা রাজ্যের অনেক মানুষকে মেরে ফেলেছে, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, পোলিং বুথ লুটপাট করেছে। এখানে কোন গণতন্ত্র নেই। ইয়ন
ওই সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর আমি বলেছিলাম সিসিটিভি ফুটেজ দেশের জনগণের কাছে উপস্থাপন করবো। কিন্তু রাজ্য সরকারের পুলিশ ওই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে এবং তৃণমূল ও তার গু-াদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
দূর্গাপুজা, কালীপুজা এবং জয়শ্রীরাম শ্লোগান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জয়শ্রীরাম শ্লোগানতো দূরের কথা। সেখানে দূর্গা পুজা, কালী পুজা, সরস্বতী পুজাকেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আসলে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য এগুলো করছে তারা।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে মোদী বৃহস্পতিবার এক জনসভায় বলেছিলেন তৃণমূলের গু-ারা ওই ভাঙচুর করেছে। এর প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা হুশিয়ারি দেন, তৃণমূল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে প্রমাণ করতে না পারলে কান ধরে লক্ষ বার ওঠ-বস করাব। আমার কাছে তথ্য আছে, ভিডিও আছে তোমরা কিভাবে মূর্তি ভেঙেছো। তিনি আরো বলেন, ‘ মোদীকেই স্ট্যাচু করে দেবে বাংলার জনতা। বাংলার মানুষ তোমাকে জবাব দেবে ভোটের মাধ্যমে। এর পাল্টা জবাবে মোদী বলেন, হারের হতাশায় দিদি ভীত। তাই আজ আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।
মমতা ব্যানার্জী ও তার ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জীকে উদ্দেশ্য করে মোদী বলেন, ‘বুয়া-ভাতিজা’র প্রধান উদ্দেশ্য বাংলাকে লুটপাট করা এবং এই জন্য তারা তোলাবাজি সি-িকেট তৈরী করেছে। বাংলায় তৃণমূলের সহিংসতায় গণতন্ত্র পুরোপুরি বিনষ্ট হয়েছে।
মমতাকে উদ্দেশ্য করে মোদী আরো বলেন, আপনি এবং আপনার দল ভূমি দখলদার হিসেবে পরিচিত। এজন্য জনগণ আপনাদের উপর আস্থা হারিয়েছে। তিনি মমতাকে ‘স্টিকার দিদি’ বলেও কটাক্ষ করেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনে এবং সারাদেশে ৩০০ আসনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলে মোদী আশা ব্যক্ত করেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান