শাহানুজ্জামান টিটু : বগুড়া-৬ আসনে পুনঃনির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে মনে করেন বিএনপির নেতা ও দলপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়ার মনোনয়নের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক রাজনীতি হিসেবে দেখছেন।
তবে তার সংশয় খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা। এবিষয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযমের বক্তব্য, খালেদা জিয়াকে বগুড়ার আসনে মনোনয়নের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক ও সময়পোযোগী। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় ইতিবাচক রাজনীতির পক্ষে। আমরা আশা করবো সরকার নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে ইতিবাচক রাজনীতি শুরু করুক। ম্যাডামকে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়ে দেবে। মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়া বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র যদি বাতিল হয় তাহলে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আরো চারজন মনোনয়নপত্র জমা দেবে। এরা হলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক জিএম সিরাজ, সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মাহবুবুর রহমান, জেলার সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম বাদশা, জয়নাল আবেদীন চাঁন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর বিএনপি দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করলো। কারণ এই আসন নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তারেক রহমান। তার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানান, এই আসনটি জিয়া পরিবারের। তাই এখানে নির্বাচনে না যাওয়াটা ভুল হবে। আসনটি একবার হাতছাড়া হলে ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসাটাও চ্যালেঞ্জ হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারেক রহমান নির্বাচনে যাওয়ার ইতিবাচক সিগন্যাল দেন দলকে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারলে তার পরির্বতে বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জি এম সিরাজের মনোনয়ন পেতে পারেন। দলের মনোনয়ন পাবেন এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচন করার জন্য সর্ম্পূণ প্রস্তুত বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত