মাসুদ আলম : মাদকাসক্ত চালক ও হেলপারদের গাড়ির দায়িত্ব না দিতে পরিবহন মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, মালিক-শ্রমিকদের এবং চালক ও হেলপারদের মধ্যে কাউকে মাদকাসক্ত বলে মনে হলে ডোপ টেস্ট করান। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করব আমরা। মাদকাসক্ত কোন লোক গাড়ির চালক, হেলপার কিংবা কনডাক্টর হতে পারবে না। বিআরটিএ প্রদত্ত চার্টের বাহিরে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাস মালিকদের উদ্দেশে ডিএমপি’র কমিশনার এসব কথা বলেন। এসময় বাস মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আছাদুজ্জামান বলেন, মাদকাসক্তরা আমাদের জাতীর শত্রু। মাদকের কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে তিনি বলেন, কোনো দুর্ঘটনার জন্য চালক এককভাবে দায়ী না। কারণ, চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে পারাপার, যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে রাস্তা পার হতে হবে।
কমিশনার আরও বলেন, গত ১৯ দিনে রাজধানীতে কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। মানুষ নিরাপত্তার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি। ১শ’র বেশি অজ্ঞান পার্টি, চোর পার্টি, ছিনতাই পার্টি সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাতদিন ২৪ ঘন্টা পোশাকে ও সাদা পোশোকে পুলিশ সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কৌশলী অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা বিভিন্ন বাস, রেল ও নৌ টার্মিনালে হকার ও যাত্রী বেশে ঢুকতে পারে। তাদের বিষয়ে আমরাও সতর্ক আছি। তবে যাত্রী এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঈদ যাত্রায় পরিবহনের ভোগান্তি নিরসনে তিনি বলেন, বাস টার্মিনালে হলুদ রেখা দেওয়া হয়েছে। এই রেখা পার হলে কোন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। যেসব পয়েন্টে গাড়ি বের হয় এবং প্রবেশ করে সেগুলো ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাখতে হবে। তাহলে গাড়ি খুব দ্রুত যাত্রী নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে এবং বেরও হতে পারবে।