দেবদুলাল মুন্না : বিদিশা বললেন, ‘আমার যা সম্পত্তি আছে সেগুলোই আমার ও এরিকের জন্য এনাফ। আমার ঢাকা শহরে অভিজাত এলাকায় একাধিক বাড়ি রয়েছে, রেন্টুরেন্ট রয়েছে, ফাউ-েশন রয়েছে, ৩০০ ফিটে ‘মায়াকুটির’ নামে আরেকটি বাড়ি বানাচ্ছি। এতো সম্পদ থাকার পর আমার সম্পত্তির প্রতি বাড়তি লোভ থাকার কথা নয়। আমার মধ্যে পরিমিতবোধ রয়েছে। যেটি রওশন এরশাদের মধ্যে নেই। তিনি উনার(এরশাদ) সম্পত্তির ভাগীদার না হয়ে মনোকষ্টে ভুগছেন। অথচ তারও অনেক সম্পত্তি রয়েছে। তার আসলে এরশাদ সাহেবের সঙ্গে সম্পর্কটা ছিল লেনদেনের। আমার সেটি নয়।
উনার ও আমার সন্তান এরিক এখন তার ড্যাডি অসুস্থ বলে প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় থাকছে। আমিই ওকে(এরিক) বলেছি তিনি (এরশাদ) এখন অসুস্থ। তোমার এখন সন্তান হিসেবে তাকেই বেশি সময় দেওয়া দরকার। এটি হচ্ছে নূন্যতম মানবিকতার ব্যাপার। কিন্তু উনার ( এরশাদ) সম্পত্তি এরিক পাওয়ার পর অনেকেই বিভিন্ন ধরণের সমালোচনা করছেন যেসব আমি শুনতে পাই। এতো নোংরা সেসব সমালোচনা আমাকে আহত করে। আমাকে ভীত করে।’
কেন ভীত করে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্ট করার কারণে এখন একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এরশাদ ও এরিক। এপ্রিলে এরশাদ সাহেবের বনানী অফিস থেকে টাকা চুরি হওয়ায় উনার (এরশাদ) শংকাই সত্যি হয়েছে। ভয় পাচ্ছি এ কারণে যে এই সহায়-সম্পত্তিই এরশাদ ও এরিকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ যাদের উনি (এরশাদ) ট্রাস্টের দায়িত্ব দিয়েছেন এদের মধ্যেই অনেকে অবিশ^াসের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমি চাই না সম্পত্তির কারণে এরিকের শরীরে কোনো আঁচড় লাগুক। আমার কাছে সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ আমার এরিক। সম্পত্তির কারণে তার কোনো ক্ষতি হোক আমি মা হিসেবে চাইবো না।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান