জুয়েল খান : মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আসার প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো। এখন পর্যন্ত তারা দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ লক্ষ করছে না তাদের ফিরিয়ে নেয়া বা অন্যান্য বিষয়ে। অল্প জায়গায় প্রায় বারো লাখ লোককে বসবাস করতে হচ্ছে। এছাড়া তাদের দৈনন্দিন চাহিদা, খাদ্য সামগ্রির পর্যাপ্ত সরবারহ করা যাচ্ছে না এবং যুবক শ্রেণিকে শিক্ষা বা কর্মের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক ধরনের হাতাশা বিরাজ করছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। তিনি বলেন, সব সমাজেই অপরাধপ্রবণ কিছু মানুষ থাকে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের যেখানে রাখা হয়েছে সেখানকার মানুষ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত আছে সেই প্রবণতা থেকেই রোহিঙ্গারা এদের সঙ্গে এসব কর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও যেমন অপরাধী চক্র আছে তেমনি রোহিঙ্গাদের মধ্যেও অপরাধী চক্র আছে। সুতরাং এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময় বার্তা সংস্থা এএফপি আসিয়ানের একটি প্রতিবেদন ফাঁস করেছে সেখানে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের পদক্ষেপের প্রশংসা এবং বাংলাদেশকে দোষারোপ করা হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মায়ানমারের সম্পর্ক ভালো যার কারণে তারা বলছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক জটিলতার কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কিন্তু আসলে বিষয়টা তা নয়। এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে যে যার অবস্থান শক্ত করার জন্য যার যার মতো করে বক্তব্য তুলে ধরছে। এটি কোনো গ্রহণযোগ্য বক্তব্য নয় বলে মনে করেন এই মানবাধিকারকর্মী।