জুয়েল খান : যদি কোনোভাবে কারো কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়া যায় তাহলে সাধারণ মানুষ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে সচেতনা বাড়বে এবং ফার্মেসির মালিকরা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ উপ-পরিচালক মঞ্জুর শাহরিয়ার বলেছেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা শহরের মতো জায়গাতে ঔষধ প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে ফার্মেসিগুলো কীভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ফার্মেসিতে রাখছে। সাধারণত ঔষধের একটা মেয়াদ থাকে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কোনোভাবেই সেই ঔষধ আর ঔষধ থাকে না। ব্যবহারের অনুপযোগী একটা পদার্থ হয়ে যায়। আর সেটা কোনোভাবেই ভোক্তার কাছে বিক্রি করা যাবে না। যদি কেউ সেটা করে থাকে তাহলে অবশ্যই এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ যাতে কেউ দোকানে রাখতে না পারে সেজন্য ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে মাঝে মাঝে মনিটরিং করা।
তিনি আরো বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ফার্মেসিতে না রাখার জন্য শুধু সরকার এবং ঔষধ প্রশাসনের পক্ষে মনিটরিং করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে ফার্মেসির মালিক এবং সাধারণ মানুষেকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। দোকান মালিকরা দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবে এবং যারা ঔষধ কেনেন তাদের দায়িত্ব হচ্ছে ঔষধ কেনার সময় মেয়াদ আছে কিনা সেটা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।