তাপসী রাবেয়া : মমতা ও ফেরদৌস ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের এক প্রার্থীর প্রচারে অংশ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছিলেন বাংলাদেশি তারকা ফেরদৌস। এজন্য তাকে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে এবং ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় অবশেষে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘ভোটের সময় বাংলাদেশ থেকে আমাদের একজন বন্ধু এসেছিলেন। তৃণমূলের মিছিল দেখে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। ব্যাস, অমনি তার ভিসা ক্যানসেল করে দেয়া হল। এটা কেমন কথা? তার ভিসা বাতিলের কোনও যুক্তি নেই। প্রায় দু’মাস পর মমতা ব্যানার্জি এ বিষয়ে কথা বললেন। গত সোমবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ভারত সফরে গিয়ে ১৪ ও ১৫ এপ্রিল রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পীদের সঙ্গে নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ফেরদৌস। এঘটনার পর ফেরদৌস দেশে ফিরে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
ওই সময় বিজেপি দাবি করে, বাংলাদেশের অভিনেতা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসে এভাবে ভোটে প্রচার করতে পারেন না। এতে যেমন নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ হয়েছে, তেমনই ভিসার শর্তও লংঘন হয়েছে।
রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কারও নাম না-নিলেও ভিসা বাতিল করার প্রসঙ্গ থেকে এটা স্পষ্ট যে তিনি ফেরদৌসের কথাই বুঝিয়েছেন।
ফেরদৌসের ভিসা বাতিলের পর তিনি পশ্চিমবঙ্গে যেসব চলচ্চিত্রর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেগুলোর শুটিংও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। মমতার এবিবৃতির পর টালিগঞ্জ সিনেমা-মহলের অনেকেই ধারণা করছেন, ফেরদৌসের ভিসা যাতে পুনর্বহাল করা হয় সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টক্কর নিতেও প্রস্তুত। সম্পাদনা : ওমর ফারুক