মঈন উদ্দীন : এবারের বাজেটে সোনা আমদানিতে শুল্ক কমেছে। কিন্তু বাজেট ঘোষণার দুই দিন আগে থেকেই অস্থির হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সোনার বাজার। জুয়েলার্সের দোকানে আগের চেয়ে প্রতি ভরি সোনায় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গতকাল রোববার সকালে মহানগরীর বিভিন্ন জুয়েলার্সের দোকান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
বর্তমানে মহানগরীর একটি জুয়েলার্সের দোকানের সঙ্গে আরেকটির সোনার দামের মিল নেই। জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) জেলা কমিটির নেতারাও। সোনার বাজারের এই অস্থিরতা দূর করতে জরুরী সভা ডেকেছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি। গতকাল রোববার সকালে মহানগরীর মনিচত্বর সংলগ্ন স্বর্ণপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, একেক দোকানে সোনার দাম একেক রকম। কোথাও দাম একটু বেশি আবার কোথাও কম। বিক্রেতাদের দাবি, ক্যারেট হিসেবে তফাৎ থাকায় দামেও পার্থক্য।
গত ১৪ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। এতে সোনা আমদানি শুল্কহার প্রতি ভরিতে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাজেটের পর সোনার দাম বৃদ্ধির কথা নয়। এই সিদ্ধান্ত রাজশাহীতে এখনও কার্যকর হয়নি। কিন্তু তার আগেই ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে বেশি দাম নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাজুসের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বলেন, বাজেটে সোনা আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা না হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা যেন ভরিতে দুই হাজার টাকা বৃদ্ধি করেন সে জন্য বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি চিঠি দিয়েছে। সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সম্পাদনা : বাহাউদ্দিন