জান্নাতুল পান্না : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ রোববার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, নৃশংস, নিন্দনীয়। তবে বাংলাদেশে একটি মহল আছে, যারা দেশ অস্থিতিশীল হলে ফায়দা লুটতে পারে। ছাত্রদের আবেগ-অনুভূতিকে পুঁজি করে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা দেশকে অশান্ত করার দুরভিসন্ধি চালাচ্ছে। ছাত্রদের মধ্যে তারা তাদের এজেন্ট তৈরি করছে, যে কারণে দাবি মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আসছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে (বুয়েটে) শিবির সক্রিয় হয়েছে, ছাত্রদল সক্রিয় হয়েছে। স্বনামে নয়, বেনামে সক্রিয় হয়েছে। তারা বিষয়টাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি ছাত্রদের প্রতিবাদের সাথেও একমত পোষণ করে অনুরোধ জানাবো, কেউ যাতে এটিকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা প্রথম থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং কেউ দাবি তোলার আগেই এ ব্যাপারে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশে কোনো মামলা হওয়ার আগেই ১০ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, বুয়েটে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ক্রসফায়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সনি যখন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল, পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে হত্যার সাথে যুক্তদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হলের ছাত্র মাহমুদ মামুনকে হত্যা করে যে পানির ট্যাংকে রাখা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকদিন ধরে সেই পানি ছাত্ররা খেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কারণে অপরাপর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে চুন্নু, বশিরেরা। এই সব হত্যাকান্ডের পর বিএনপি কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। সম্পাদনা: শাহিদ আবেদীন