সমীরণ রায় : রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে সামনে রেখে ত্যাগি ও পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বের লড়াই চলছে। দুই মহানগরের হাল ধরতে শেষ মূহুর্তে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। তবে ক্যাসিনোকা-, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত নেতাদের কমিটিতে ঠাই হচ্ছে না বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে কৃষক লীগ এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সম্মেলনে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজ, পরিচ্ছন্ন, ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বে তুলে আনার চিন্তা আছে আওয়ামী লীগ হাইকমা-ের। ইতোমধ্যে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পদপ্রত্যাশী নেতাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তালিকাও যাচাই বাছাই করার কাজটি শেষ করেছেন তিনি।
সূত্রে জানা গেছে, মহানগর দক্ষিণে শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ ডজনখানেক নেতা। এরমধ্যে কামরুল হাসান রিপন ২০০১ সালে বিএনপি জোটের শাসনামলে অনেক হামলা মামলা শিকার হয়েছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ছাত্রনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার জন্য ১৬টি মামলা হয়েছিলো। ওয়ান ইলেভেনের সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে আগামীতে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব উঠে আসবে। নেত্রী সব সময় ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। তাই এ সম্মেলনেও নেত্রী ত্যাগিদের মূল্যায়ণ করবেন।
মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার বলেন, সব সময় স্বচ্ছ রাজনীতি করেছি। সংগঠনের সকল তৃণমুল ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাকর্মীদেরও প্রত্যাশা, সংগঠনের কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে সৎ, শিক্ষিত, ত্যাগি ও পরিশ্রমীদের সম্মেলনে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হলে সংগঠন আরও গতিশীল ও প্রাণবন্ত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু বলেন, নেত্রী গেপ্তার হওয়ার পর প্রথম মহাখালীতে তার নের্তৃত্বে মিছিল হয়। তাই নেত্রী যে পদে চাইবেন, সেখানে থাকবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, মাদারীপুর জেলার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে রাজনীতিটা করে আসছি। এখনও করছি। ১/১১’র সময়ে নেত্রীর মুক্তির জন্য রাত-দিন মাঠে ছিলাম। দলের দুর্দিনে সক্রিয়ভাবে পাশে থেকেছি। তাই নেত্রী ত্যাগি ও পরীক্ষিত নেতাদের দায়িত্ব দেবেন বলে প্রত্যাশা করছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ