শিমুল মাহমুদ : গতকাল শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উভয় দেশ অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় এই দু’দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়ায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়তর জায়গায় রয়েছে। যার ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে। ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ও ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হলো বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে প্রবিত্র বন্ধন। এ মহান জাতি আগামীর একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চরম কষ্ট সহ্য করেছে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম তাদের কাছে চিরঋণী। মুক্তিযুদ্ধের এ অবদানকে সম্মান জানাতে আমরা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উদ্যাগ নিয়েছি। তাদের জন্য ৫ বছরের ভিসা এবং ভারতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব অত্যন্ত সোনালি অধ্যায়ের। ৭১’র পর ভারত ও বাংলাদেশ অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। দুই দেশেরই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে সর্ম্পককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথম। আর সে দিক থেকে বাংলাদেশ সবার আগে।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ পাওয়া ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস বলেন, সম্প্রতি ফেনী নদী থেকে ভারতের সাব্রুম শহরে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। আজ ঢাকার একটি পত্রিকায়ও এর সমলোচনা হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে এই পানি দেয়ার বিরোধিতা অন্যায্য।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শাহরিয়ার কবির বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের গোটা অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তার হুমকি। আমরা আশা করবো ভারত এ সত্যকে উপলব্ধি করে প্রাণপ্রণে চেষ্টা করবে যাতে এ রোহিঙ্গারা সহসাই তারা তাদের দেশে ফিরত যেতে পারে। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী