হিমেল রোজারিও : [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রগুলোতেও সমতা রাখতে হবে। এই নির্যাতন ও বৈষম্য নারী একা দূর করতে পারবে না, মিডিয়াসহ সবাই যদি একত্রে কাজ করে ভুল ব্যাখ্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারি, তাহলেই এই বৈষম্য দূর হবে।
[৩] পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, আইন নারীর বিপক্ষে, পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ, ধর্ম, কোনো প্রতিষ্ঠান এখনো পরিপূর্ণ নারীবান্ধব হয়ে ওঠেনি। নারী নির্যাতন শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে নারী নির্যাতনের চিত্র আছে। ঘরের অভ্যন্তরে নারী ও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে। নারীবান্ধব সমাজ গড়েতে হলে সমাজ-রাষ্ট্রের প্রতিটি জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে।
[৪] নারী সন্তানকে কেন লালন-পালন করবে, সম্পত্তিতে নারীদের কোনো সমান অংশীদারিত্ব এই ধারণার পরিবর্তন করতে হবে। শারীরিকভাবে মেয়েরা দুর্বল, কিন্তু এই ভ্রান্ত ধারণা ভুল প্রমাণ করে মেয়েরা এখন পাইলট হচ্ছে, সব কাজে অংশ নিচ্ছে। [৫] কিছু কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নারীকে পণ্য হিসেবে দেখতে চেষ্টা করে। কিছু মিডিয়াও নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে। নারী এখনো পরিপূর্ণভাবে মানবীয় মর্যাদা পায়নি সারা পৃথিবীতে।