ইসমাঈল ইমু : [২] নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী লীগ, কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এবং সভাপতিমন্ডলীর বেশ কয়েকজন নেতাকে অন্তত ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
[৩] বিনিময়ে চেয়েছিলেন নরসিংদী থেকে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন।
[৪] কিউ অ্যান্ড সি’র সদস্যরা মাদক ব্যবসা, চাঁদা তোলা, মাসোহারা আদায়, তুলে এনে টাকা আদায়, অনৈতিক কাজ করানো এবং জমি দখলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পাপিয়ার হাতে তুলে দিতেন।
[৫] বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তরুণীদের গোপন মেলামেশার ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করতেন পাপিয়া। এভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন পাপিয়া-সুমন দম্পতি।
[৬] এদিকে পাপিয়ার পেছনে যারা আছে, তারাও নজরদারিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
[৭] অপরদিকে পাপিয়ার সব অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের নাম জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
[৮] তিনি বলেন, পাপিয়ার মোবাইল ফোনের কললিষ্টে ৩৩ জন এমপি ও ১১ মন্ত্রীর নাম পাওয়া গেছে। জনগণের সম্মুখে তাদের নামও প্রকাশ করতে হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ, ইকবাল খান