আসিফুজ্জামান পৃথিল : [৩] বরখাস্তকৃত ৬০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ, একটি গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ চালাচালি করেছেন তারা। যদিও সেনা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার কারণেই যে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এমন খবর নিশ্চিত করা যায়নি। অন্য দিকে পাকিস্তানও সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
[৪] স্মার্ট ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরও পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর পদস্থ অফিসাররা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রচুর মেসেজ আদানপ্রদান করেছেন বলে অভিযোগ। এর পরেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লা ডোগার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইজাজ চৌধুরী এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিলাল আকবর-সহ বিভিন্ন ইউনিট থেকে মোট ৬০ জন সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়।
[৭] তবে পাকিস্তানে ইমরান খানের কর্তৃত্ব কমা এবং সরকারে সেনার আধিপত্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত একাধিক খবরের ভিত্তিতে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
[৮] অন্য একটি সম্ভাবনাও উঠে এসেছে। গত নভেম্বরে সেনাপ্রধান হিসেবে কমর জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়েছেন ইমরান খান। এই সিদ্ধান্তে সেনা অভ্যন্তরের একাংশে ক্ষোভ-অসন্তোষ জমেছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ওই অংশে কামার বাজওয়ার প্রতি আনুগত্যও কমার পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধাচারণের পরিকল্পনাও চলছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সম্পাদনা: ইকবাল খান