আনিস তপন: [৪] সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এই নির্দেশনা জারি করে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এ্ই নির্দেশনা সারাদেশে দুই সপ্তাহ কার্যকর থাকবে। সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, অন্যান্য) সীমিত করতে এবং বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
[৫] উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে এবং পর্যটন বিনোদন কেন্দ্র সিনেমা থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করাসহ সব ধরনের মেলার আয়োজন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
[৬] গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্ত:জেলা যান চলাচল সীমিতসহ প্রয়োজনে বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
[৭] বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, ওষুধের দোকান, শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করবে।
[৮] সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
[৯] জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা করতে বারণ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[১০] এছাড়া করোনা আক্রান্ত ও লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত, তার সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
[১১] সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থাসহ সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোনো ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা।
[১২] হোটেল-রেস্তোরাঁয় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি কাস্টমারের প্রবেশ নিষিদ্ধ করাসহ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে সব সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু