আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ এই সমস্যা দেখা দেবে। ফিনল্যান্ডের আলতো ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এ গবেষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক জার্নাল ওয়ান আর্থে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। দ্য হিন্দু
[৪] গবেষকরা বলেছেন, বর্তমানে শস্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ৯৫ শতাংশ জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। তাপমাত্রা যদি ৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়, তাহলে এই অঞ্চলগুলোর অনেক স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাতের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনের এই অঞ্চলগুলো ব্যাপকভাবে সংকুচিত হবে।
[৫] গবেষণার প্রধান লেখক ও আলতো ইউনিভার্সিটির বৈশ্বিক খাদ্য ও পানি বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক মাত্তি কুম্মু বলেছেন, ‘জলবায়ু সংকটে বিশ্বে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়বে। জলবায়ু নিরাপদ অঞ্চল ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়ে আসার আভাস আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের। কিন্তু আমাদের হাতে এখনো সময় আছে।’ রয়টার্স
[৬] গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ যদি কমানো যায় এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা যায়, তাহলে বৈশ্বিক খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলগুলোর মাত্র ৫ থেকে ৮ শতাংশ ঝুঁকিতে পড়বে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যতো কমানো যাবে, ততোই মঙ্গল হবে মানবজাতির জন্য। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব