
প্রকাশিত: Tue, Mar 21, 2023 3:55 PM আপডেট: Wed, May 14, 2025 2:59 AM
ভাষা-সংস্কৃতি-কৃষ্টির মূলে বাঙালিয়ানা
কবির য়াহমদ : এমনিতেই আমি চলচ্চিত্র, সংগীতসহ অনেক বিষয়ে বলি না। কোক স্টুডিও-বাংলার ‘নাহুবো’ গান শোনার পর কিছু বলিনি। কারণ বিশেষজ্ঞ মতামত দেওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই। শুরুতে কিছু বুঝিনি। ফেসবুক দেখে বুঝতে চেষ্টা করলাম। অনেকের নানামুখী মন্তব্য দেখে বুঝলাম গানটা আমার ভালো লাগেনি। তাৎক্ষণিক এই মনে করা আদতে শ্রোতা হিসেবে আমার মতামত, যেখানে বিশেষজ্ঞ মতামত নেই। আছে ভালো-লাগা মন্দ লাগার মতো ব্যক্তিগত ক্ষণিক অনুভূতি। গানের গায়ক অনিমেষ রায় এরপর যখন আলোচনায় এলেন, আলোচনায় এলো গানের ভাষা। জানলাম হাজং ভাষায় লিখিত গান। আদিবাসী হাজং, যদিও হাজংসহ আর অনেককে এই আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে রাজি না অনেকেই। অনিমেষ রায় নিজেকে বলছেন, বাঙালি।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আমিও বাঙালি, বাংলাদেশি। কিন্তু যন্ত্রণাটা হলো আমার জন্মগত, বংশগত, সম্প্রদায়গত একটা ভাষা আছে সেটা হলো হাজং ভাষা। জন্মের পর থেকে এই ভাষায় কথা বলা শিখেছি। কিন্তু কিছুটা বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। শুরু করলাম আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা শেখা বাংলা। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার কন্ঠ থেকে যতগুলো শব্দ এ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার সিংহভাগ বাংলা’। তার এ কথাগুলো কেন সমালোচনার কারণ হচ্ছে? বাঙালিয়ানা ধর্ম নয়। ভাষা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি মূলে এই বাঙালিয়ানা আমাদের। সকল ধর্ম-সম্প্রদায় মিলেই তো আমরা। এখানে যদি আদিবাসী হাজং, গারও, চাকমা, মারমাদের বাঙালিয়ানা থেকে দূরে ঠেলি তবে কীভাবে হয়? যিনি নিজেকে বাঙালি দাবি করেন, যার মধ্যে বাঙালির ভাষা-সংস্কৃতিসহ বিবিধ উপাদান রয়েছে তিনি নিজেকে বাঙালি দাবি করতে পারেন।
এখানে আপত্তি করার কী আছে? এখানে আপত্তি করার কর্তৃপক্ষই বা কে? যারা অনিমেষ রায়কে বাঙালি পরিচয় থেকে দূরে ঠেলতে চান তারা কি নিজেদের বাঙালি জাতির কর্তৃপক্ষ ভেবে রেখেছেন? কোন যুক্তিতে? শুরুর ভালো না লাগা মাথায় রেখে অনিমেষ রায়ের কথাগুলো এবং তাকে ঘিরে জেগে উঠা বিতর্ককে সঙ্গী করে আজ সকালে ফের ‘নাহুবো’ গানটা শোনার চেষ্টা করলাম। একবার নয়, কয়েকবার শুনলাম। অদ্ভুত ব্যাপার, এখন ভালো লাগছে, মায়া লাগছে গানের কথায়-সুরে। বুঝতে পারলাম গান কেবলই কানে বাজার বিষয় নয়, গান অনেকটা মায়া লাগার বিষয়, পরিবেশ দেখে, পূর্বাপর ভেবে শুনতে যাওয়ারও বিষয়। লেখক: সাংবাদিক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
